আদমদীঘিতে নাগর নদীর বাঁধ পুনঃনির্মাণ না করায় চাষাবাদ হুমকির মুখে

আহসান হাবিব শিমুল(আদমদীঘি প্রতানিধি):

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত আপার নাগরভেলী নদীর ৬ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড পুনঃনির্মাণ করেছে মাত্র অর্ধ কিলোমিটার। সেটাও বেশ দুর্বল ভাবে। অবশিষ্ট সাড়ে ৫ কিলোমিটার বাঁধ পুনঃনির্মাণ না করায় নদী এলাকার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর ফসলী জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৌকা চলাচল করা নদীটি সময়ের পরিবর্তনে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে পুনঃখনন না করায় এবং বালু দস্যুদের কালো থাবায় নদীর বাঁধের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এক সময় এই এলাকায় রাস্তা-ঘাট ছিল না। ফলে এই অঞ্চলের মানুষ নৌপথে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকত। সেই ব্যস্ততম নদীটি এখন মৃতপ্রায়।

জানা গেছে, আপার নাগরভেলী নদীর দক্ষিণ এলাকার আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নদীর পূর্ব পাড়ে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার উপ-প্রকল্পের বিষ্ণুপুর নামক স্থানে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ মার্জিনাল ডাইক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারনে আদমদীঘির কুন্দুগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়ন বাসীর দাবী আপার নাগরভেলী নদীটি পুনঃখনন এবং টেকসই ভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হলে নদীটি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে এবং বর্ষা মৌসুমে নদী এলাকার ফসলী জমি বন্যা থেকে মুক্ত হবে। পাশাপাশি শুকনা মৌসুমে সেচের সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার আব্দুল মোকছেদ জানান, আমরা যেভাবে বরাদ্দ চাই তা সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান, নদীটি পুনঃখনন ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ কাজের জন্য আমাদের যথেষ্ট প্রচেষ্টা রয়েছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে ব্যর্থ হচ্ছি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা দ্রুত কাজ গুলো সমাপ্ত করতে পারব। নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ইতিমধ্যে একটি ডিপিপি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্প পাশ এবং অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। চলতি অর্থ বছরে ডিপিপিটি পাশ হবে বলে তিঁনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।